মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ডিমের দাম বাড়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। ৭০ শতাংশ দাম ফিডের খরচের ওপর নির্ভর করছে। এই ফিডের দাম তো এই সময়ে বাড়েনি। তাহলে দামটা বাড়ল কেন? বাজারে ডিমের দাম বৃদ্ধির পেছনে কারসাজি রয়েছে। এটিকে অপরাধ হিসাবে দেখা উচিত।
আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে রাজধানীর খামারবাড়িতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, পত্রিকায় খবর এসেছে, আমদানির কারণে ডিমের দাম কমে গেল। তাহলে বোঝা যাচ্ছে, এখানে একটা কারসাজি আছে। এখানে কোনো একটা পক্ষ সক্রিয়, যারা ডিমের দাম বাড়িয়েছে। তা না হলে কমে কী করে?
প্রতিবছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়। এবছরের প্রতিপাদ্য ‘ডিমে পুষ্টি ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগমুক্তি’।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ডিমকে অস্থিতিশীল করে দেওয়া হলো। মিডিয়াতেও প্রধান শিরোনাম হিসেবে খবর আসতে শুরু করল যে ডিমের বাজার অস্থির। এটাও দাম বৃদ্ধির একটা কারণ। কিছু খামারি বলছে বন্যার কারণে খামার নষ্ট হয়েছে, সেটা ঠিক আছে। আমাদের দেশে এই সময়টা খাদ্য প্রাপ্যতার দিক থেকে খারাপ সময়। বন্যার কারণে সবজির উৎপাদন কম হচ্ছে। সে কারণে ডিমের ওপর চাপ বাড়ছে।
তিনি বলেন, পুষ্টির অন্যতম উপাদান ডিমকে সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য করতে উৎপাদন বৃদ্ধি ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে যদি বছরে ১৩৬টি ডিম প্রতিটি মানুষ খায়, তাহলে কেউ বেশি খাচ্ছে, কেউ আবার খাচ্ছে না। এটা তো ডিম নিয়ে বৈষম্য। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরে ডিমে কেন বৈষম্য থাকবে। শ্রেণি নির্বিশেষে সবার নাগালের মধ্যে ডিমকে নিয়ে আসতে হবে। দাম কমানোর প্রচেষ্টার এটাও একটা কারণ। “