শনিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজনীতি

গুম-খুনের মূলহোতাদের শাস্তি দাবি সালাহউদ্দিন আহমেদের

দেশে গুম-খুনের মূলহোতাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার গুম কমিশনের প্রধান সাবেক বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবির কথা জানান তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ এবং শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকী গুম-খুন করেছেন। এরাসহ গুম-খুনের মূলহোতাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দেশ থেকে চিরদিনের জন্য গুম-খুনের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। এটি জাতির দাবি, ৫ আগস্টের বিপ্লবের দাবি, শহীদের রক্তের দাবি।

তিনি আরও বলেন, আমি গুম কমিশনে উপস্থিত হয়েছিলাম, যাতে করে আমার গুমের বিষয়টা অফিশিয়ালভাবে লিপিবদ্ধ করতে পারি। আমার গুমের বিষয়ে আদ্যোপান্ত সবই জানেন। ২০১৫ সালের মার্চ মাসের ১০ তারিখ রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে আমাকে উত্তরার একটি বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে নেওয়ার পর ৬১ দিন গুম ছিলাম। এরপর আমাকে অন্য একটি দেশে পাচার করে। এ বিষয়ে গুম কমিশনে বিস্তারিত বলেছি।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গুম কমিশন এ বিষয়গুলো তদন্ত করে তুলে ধরবে। এ বিষয়ে তাঁদের কতটুকু এখতিয়ার আছে, আমার জানা নেই। আমি তাঁদের জানিয়েছি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করব। যারা পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে আছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কীভাবে আনবে সেটি আইনে আছে।

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত জিয়াউল আহসান জেলখানায় খুব আরামে আছেন। তাঁকে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। তাঁর কাছ থেকে একটি শব্দ বের হয় না। তাহলে কী দেশে গুম-খুন হয়নি? সবচেয়ে বেশি গুম-খুনের অভিযোগতো জেনারেল জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে আছে। বেনজীর আহমেদসহ আরও যারা গুম-খুনের হোতা ও নায়ক রয়েছে; তাঁরা সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা, তাঁর সচিব তারেক সিদ্দিকীসহ যাদের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়েছিল, সবাইকে খুঁজে বের করতে হবে। “


সম্পর্কিত খবর

Flight Centre

Demo Description

This will close in 20 seconds