কক্সবাজার শহরের বাস-টার্মিনাল এলাকায় একটি জমি দখল করে রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রশীদ। প্রশাসনের সহযোগীতায় এ জমি ফিরে পেয়েছেন তিন বোন। এটি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। গেল ১৫ বছর ধরে আওয়ামীলীগের প্রভাব কাটিয়ে জমিটি দখলে নেন রশীদ৷ এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
মঙ্গলবার দুপুরে পৈত্রিক জমিতে আসেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ লারপাড়া এলাকার মৃত জাকারিয়ার মেয়ে জুলেখা বেগম (৬০), মঞ্জুরা খাতুন ও হুসনে আরা।
পুলিশের কাছে দায়েরকৃত অভিযোগে জুলেখা বেগম বলেন, ‘ তপশীলোক্ত জায়গা আমি ও আমার অপরাপর বোন মনজুরা খাতুন ও হোসনে আরা ওয়ারিশী মালিকানাধীন ও দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি। উক্ত জমি সংক্রান্ত বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে আমাদের দায়েরকৃত বি.এস সংশোধনী অপর মামলা নং- ১২৫/২০১৪ইং চলমান আছে। উক্ত জমিতে দখলবাজ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার পশ্চিম এলাহাবাদের মৃত নুর আহমদের ছেলে আব্দুর রশীদ ও মৃত ফারুক আহমেদের ছেলে মনিরুজ্জামান সুমন (৪৫) আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা। যারফলে জমিটির ওয়ারিশদের তথ্য গোপন করে জবর দখল করেন।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার কিছু সন্ত্রাসী লোকজনদের ভুল তথ্য দিয়ে টাকার বিনিময়ে বশীভূত করিয়া আমাদের পেছনে লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের হুমকি-ধামকিতে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
জমির ওয়ারিশগণের দাবী, ‘সন্ত্রাসী দিয়ে জায়গার দখল ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বলেন, অন্যথায় বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়াবেসহ নানা হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। তপশীলোক্ত জমিতে বিবাদীগণের কোন ধরণের স্বত্ব-স্বার্থ না থাকা স্বত্বেও তাহারা সম্পূর্ণ অন্যায় লোভের বশবর্তী হইয়া জোরপূর্বক সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের নিম্ন তপশীলোক্ত জায়গা জবর দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তপশীল মূলে-মৌজা- ঝিলংজা, থানা ও জেলা- কক্সবাজার। আর এস খতিয়ান নং- ৯১৯, আর এস দাগ নং- ২৬৩৬, তুলনামূলক বি, এস খতিয়ান নং-১, বি.এস দাগ নং- ১৭২৩৮, বিরোধীয় জমির পরিমাণ- ০.১১ একর।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, ‘অভিযোগ পাবার পর উভয়পক্ষকে কাগজ-পত্র নিয়ে আসতে বলি। কিন্তু রশীদ গংরা তাদের জমি দাবী করলেও কাগজ নিয়ে আসেননি। কোন ধরণের অন্যায় অনিয়ম কক্সবাজার শহরে আর চলতে দেয়া হবে না। “