ফ্যাসিবাদ সরকার কক্সবাজারে টেকনাফ সীমান্তে মাদক-রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের অজুহাতে নাফনদে মাছ শিকারের পাশপাশি বন্ধ করে দেয় শাহপরীর দ্বীপর করিডোর। এতে লাখো মানুষের দূর্দিন যাচ্ছে। এছাড়া বৈধপথ বন্ধ রাখায়, সীমান্তে বেড়েছে অবৈধ চোরাচালান।
তাই ফ্যাসিবাদ সরকারের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন হওয়ায় তার অবৈধ নিষেধজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বুধবার বিকেলে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ নাফনদের পাড়ে মানববন্ধন করেছেন সীমান্তের বসবাসকারীরা। এতে জেলেদের পাশাপাশি শ্রমিক পশু ব্যবসায়ীরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ ফ্যাসিবাদ সরকারের সাবেক এমপিরা সীমান্তে চোরাচালান অব্যাহত রাখতে নাফনদে মাছ শিকার-করিডোরসহ সকল বৈধ পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। যাতে তার সরকারের দূর্নীতিবাজ সাবেক এমপিরা অবৈধ চোরাচালন করতে পারে। কিন্তু সেই অবৈধ সরকারের পতন হলেও তার দেয়া অবৈধ নিষেজ্ঞা এখনো প্রত্যাহার হয়নি। যা খুবই দুঃখজনক। তাই আমরা বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি জানায় লাখো মানুষের জীবিকার পথ নাফনদে মাছ শিকার ও শাহপরীর দ্বীপ করিডোর খোলে দেওয়া হোক।’
টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ করিডোর ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর জানান, প্রায় চার বছর ধরে মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু গরু মহিষ আমদানির করিডোর বন্ধ রয়েছে, মাদকের তকমা দিয়ে এই বৈধ ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, এই অঞ্চলের মানুষ অভাব অনটনে দিন পার করছে, লক্ষাধিক মানুষ এই জীবিকার সাথে সংশ্লিষ্ট, সবাই এখন বেকার, অতি শীঘ্রই এই করিডোর খুলে দিয়ে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি জানাচ্ছি।
জেলে নুর আমিনের দাবি, মৎস্য আহরণ করে জীবীকা নির্বাহের একমাত্র পথ নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ৭ বছর, ‘ভালোমতো খেতে পারিনা। অনেকদিন, ছেলেদের পড়ালেখার খরচ যোগাতে হিমশিম খাচ্ছি। এভাবে আর কতদিন না খেয়ে বাঁচব! আমাদের পেট ও পরিবারের দিকে তাকিয়ে দ্রæত নাফ নদীতে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুন।
এদিকে ২০১৭ সালে নাফনদে মাছ শিকার এবং ২০২০ সালে শাহপরীর দ্বীপ করিডোর বন্ধ করে দেয়। “