২০২৩ সালের ৩ আগষ্ট স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের ৮ নেতাকর্মী-সমর্থক হয়রানির উদ্দেশ্যে গোমাতলী সমবায় কৃষি ও মোহাজের উপনিবেশ সমিতির সভাপতি,সম্পাদক সহ অপরাপর সমবায় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
যার শুনানীর ধায্য তারিখ ছিল মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর)। যথাসময়ে শুনানী অনুষ্ঠিত হলেও উপস্থিত ছিলেন না অভিযোগকারীরা। ছাত্র-জনতার উপর হামলার অভিযোগ থাকায় এসব স্বৈরাচার সরকারের দোষররা উপস্থিত হননি বলে জানা গেছে।
কিন্তু, তাদের বিশেষ সুবিধা দিতে ঈদগাঁও উপজেলা সমবায় কর্মকর্কার দিদারুল ইসলাম এর মাধ্যমে সমবায় অধিদপ্তর হতে আগত তদন্তদল নেতা কামরুজ্জামানের নেত্রীতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গোপনে বুধবার (২০ নভেম্বর) ঈদগাও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা তার অফিসে গোপনে তাদের উপস্থিতি খাতায় স্বাক্ষর নেয়ার আয়োজন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায়, ‘বিভিন্ন অবৈধ স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতা আবুল বশর, পোকখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক আবদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আমির হামজা, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সদস্য নুরুল আমিন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আবছার, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল হুদা ও সদস্য আব্দুল মাবুদসহ কয়েজন একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে উপস্থিত ছিলেন অভিযোগ উঠা গোমাতলী সমবায় কৃষি ও মোহাজের উপনিবেশ সমিতির সভাপতি এম আব্দুল্লাহ ও সাধারন সম্পাদক মোসলেম উদ্দীনসহ অভিযুক্ত সমবায় কর্মকর্তা গণ।
তাদের অভিযোগ, ‘ হয়রানির উদ্দেশ্যে অভিযোগ করলেও ৫ আগস্টের পর থেকে লাপাত্তা ৮ আওয়ামীলীগ নেতামসহ ১৭ জন। এটি একটি ভূয়া অভিযোগ হলেও সমবায় কর্মকর্তারা গোপনে তাদের উপস্থিতি দেখাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। মূলত সমবায় অধিদপ্তর হতে আগত কর্মকর্তাদের লক্ষ টাকা ঘুষের মাধ্যমে আওয়ামী পালাতক নেকাদের বিশেষ সুবিধা দিতে ও স্থানীয় ভাবে প্রতিষ্টিত করতে শোনানীতে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বুধবার ঈদগাও সমবায় কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম তার কার্যালয়ে গোপন বৈঠকের আয়োজন করেছেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঈদগাও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম, জেলা সমবায় কর্মকর্তা জহির আববাস ও সময় অধিদফতরের যুগ্ননিবন্ধক (ইপিপি) মো. কামরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।