বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লুৎফর রহমান কাজল বলেছেন, আওয়ামীলীগই সব সময় এ দেশে ক্ষমতায় এসে কখনো বাকশাল কখনো ফ্যাসিবাদ কায়েমের মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যা,দিনের ভোট রাতে,লুটপাঠ,মানুষ খুন ও ঘুমের রাজনীতি করে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে দীর্ঘদিন সাজানো মামলায় জেল খাটালো আর ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দুপুরের রান্না করা খাবার না খেয়ে হাসিনাকে দেশ ছাড়তে হলো, তিনি আরো বলেন বিএনপি এ দেশের গণমানুষের দল বিএনপি যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই এ দেশে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চর্চা হয়।
পৃথিবীতে একটি যন্ত্র আছে যা কখন পুরাতন হয় না, আর তা হলো ষড়যন্ত্র। বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসবার সম্ভাবনা দেখা দিলেই দেশী বিদেশি ষড়যন্ত্র শুরু হয়, তাই বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যে বদ্ধ থেকে জনবান্ধব রাজনীতি করতে হবে।খুনিয়া পালং ইউনিয়ন হলো বিএনপির জন্য উর্বর ভূমি, ছাত্রাবস্হা থেকে এই ইউনিয়নের সাথে আমার যোগাযোগ, পর্যটন এলাকা সমৃদ্ধ এই ইউনিয়নের বিশাল জনগোষ্ঠীর সেবায় সকল নেতাকর্মী কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে কাজ করতে হবে, শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় এ দেশে বাকশাল কায়েম করেছিলো পরবর্তী আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এসে তিনি রাজনীতিবিদ না হয়েও সকল দলকে রাজনীতির সুযোগদান, মুক্তবাজার অর্থনীতি,সংবাদপত্র চালু গার্মেন্টস শিল্প চালু সহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। শহিদ জিয়ার শাসনামলের মাত্র সাড়ে ৩ বছরেই দেশ চাল রপ্তানি শুরু হয়।
সোমবার, ২০ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দুপুর থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে হাজারো নেতাকর্মী মিছিল সহকারে সভায় অংশ গ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের আগে সম্মেলন ও কাউন্সিলের শুভ উদ্বোধন করেন রামু উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোক্তার আহমদ। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর বাবু।
খুনিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক এসএম ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে সদস্যসচিব ফরিদুল আলম সভার সঞ্চালনা করেন।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন রামু উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেরাজ আহমদ মাহিন চৌধুরী, ফোরকান আহমদ, জেলা যুবদলের সহসভাপতি জাবেদ ইকবাল, বিএনপি নেতা শেখ আব্দুল্লাহ, লিয়াকত আলী খান, আলহাজ্ব ফরিদুল আলম, কাজী এম আবদুল্লাহ আল মামুন, সাহেদুজ্জামান বাহাদুর, ভুলু চৌধুরী, রাশেদ সিকদার, আবু তালেব, হাজী আবদুর রহমান, আবুল কালাম, রামু উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক শাহনুর উদ্দিন বাবু, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন, আবদুর রহিম, রামু উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জহির আলম, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি জাহেদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক হেফাজ উদ্দিন, যুবদল নেতা এইচএম মাসুদ, হেমসেল সরওয়ার. উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ারুল হক সিকদার, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছানা উল্লাহ সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহাজান লুতু, সদস্য সচিব এরশাদ উল্লাহ, যুবদল নেতা নুরুল হক, মনজুর আলম সিকদার, নাসির উদ্দিন, মিজানুর রহমান, ছাত্রদল নেতা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল প্রমুখ।