পুলিশ হলো সৎ মায়ের সেই অপ্রিয় সন্তান, যাকে যখন যেভাবে খুশি রাঙানো যায়। বিদ্যমান আইন, সমস্যা, বাধ্যবাধকতা যাই হউক, দিনশেষে সবাই ঢালাও ভাবে সমস্ত দায় ব্যর্থতা শুধু সৎ মায়ের ওই অপ্রিয় সন্তান পুলিশের উপরই। আমাদের সমাজের এমন কিছু মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে বৃদ্ধাঙ্গাগুলি দেখিয়ে নিজেকে মানবিক, বিনয়ী, সৎ, মেধাবী, নিরপেক্ষ আর পরিশ্রমী সাহসী পুলিশ সুন্দর মনের অধিকারী হিসেবে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূইয়া।
সাংবাদিকতার ছোট্ট জীবনে পুলিশ বাহিনী নিয়ে অনেক লেখা পড়েছি, এবং লিখেছি তবে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অনেক সৎ নিষ্ঠবান কর্মকর্তা রয়েছে যারা জীবন বাজি রেখে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। আজ এমনই একজন সাফল্যর মানবিক ওসিকে নিয়ে এই উৎসাহ মূলক প্রতিবেদন-
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের ভূইয়া গত ২০২৪ সালে (২০ সেপ্টেম্বর) চকরিয়া থানায় যোগদান করেছিলেন। যোগদানের পর থেকে তিনি কর্মক্ষেত্রে তার অধিনস্থ সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন জনগণ ও দেশের কল্যাণে। পুলিশ জনগণের বন্ধু এই মন্ত্রকে বুকে ধারণ করে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা এবং মেধার দক্ষতা দিয়ে অপরাধ দমনের চেষ্টা করেন দেশের কল্যাণে। পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তার প্রতিটি কর্মে। মনোরম পরিবেশে সাজিয়েছেন থানাটিকে। থানা পুলিশের জীবনমান উন্নয়ন। প্রত্যেক মাসে চৌকিদারদের সাথে নিয়মিত মত বিনিময় করেন। এই মাসে চকরিয়া চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা, ধর্ষনের ঘটনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন। এছাড়াও অধূমপায়ী এই ওসি থানায় আগত সকলের অপ্যায়নের জন্য টেবিলের উপর সেবাপ্রাপ্তির আগত ছোট বাচ্চাদের চকলেট রেখে দেন। এবং অভিভাবকদের চা খাওয়ায়ে আপ্যায়ন করে তিনি হাসি মুখে কথা শুনেন তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেন এবং পরামর্শ দেন।
থানার বাবুচি নেজাম উদ্দিন বলেন, থানার দীর্ঘ ১৯ বছর চাকুরি করার সুবাদে অনেক পুলিশ অফিসারের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। কিন্ত থানার বর্তমান ওসি মনজুর কাদের ভূইয়া স্যারের সাথে কাজ করে আমি যা শিখেছি। তিনি শুধু আমাদের থানার পুলিশদের প্রিয় পাত্র ও অভিভাবকই নন, চকরিয়াবাসীর মানুষের আস্থার ঠিকানা। চকরিয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে যখন কোন কাজে যাই জনগণ হাসি মুখে এগিয়ে এসে বলে ভাই আপনাদের ওসি সাহেব নাকি অনেক ভালো মানুষ? তখন আনন্দে বুকটা ভরে উঠে যে, এমন একজন সৎ,মেধাবী ও মহান মনের অধিকারী একজন অফিসারের সেবা করার সুযোগ হয়েছ।
চকরিয়া মানবিক পাঠশালার নির্বাহী পরিচালক ইরানুর ইসলাম বলেন, ওসি মনজুর কাদের ভূইয়া যোগদানের পর থেকে, চুুরি, ছিনতাইকারী, ডাকাতি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, ধর্ষক, হত্যা মামলার আসামীদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন। তিনি ইতিমধ্যে একজন নিষ্ঠাবান অফিসার হিসাবে সাধারণ মানুষের কাছে মানবিক পুলিশ অফিসার নামে বিশেষ স্থান অর্জন করেছেন। অসংখ্য নিদর্শন তৈরি করে তিনি তার অধীনস্থ অফিসারদের নিয়ে বাস্তবায়ন করেছেন এলাকায় শান্তির ফোয়ারা। অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাওয়া এই অফিসার এখন চকরিয়া মানুষের কাছে একজন মানবিক এবং চৌকস পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন। তিনি একজন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গর্বিত কর্মকর্তা। কর্মদক্ষতা, বিচক্ষণতা ও চৌকস এই পুলিশ কর্মকর্তার নাম এখন সবার মুখে,মুখে। এছাড়াও তিনি দিন-রাত পরিশ্রম করে বিপদগ্রস্ত মানুষকে আইনি সেবা প্রদান করা সহ অপরাধ দমনে অসীম সাহসী ভূমিকা অব্যাহত রেখেছেন। অত্র এলাকার সকল শ্রেণির মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিয়ে তিনি নিজেই কথা বলে তাৎক্ষাণিক আইনি সেবা প্রদান করেন। ওসি যোগদানের পর থেকে আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তার কাছে এ পর্যন্ত কোন অপরাধী পার পায়নি। পুলিশের রুটিন অনুযায়ী সাহসী এ পুলিশ অফিসার দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন দেশ এবং জাতীর কল্যাণের জন্য।তিনি একজন সৎ, নি:স্বার্থ, নির্লোভ, সহজ-সরল, মানবিক পরিচ্ছন্ন ও রুচিশীল অফিসার হিসেবে চকরিয়া বাসীর সত্যিই নজর কেড়েছেন।
চকরিয়া এডভোকেট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মিফতাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ওসি যোগদানের পর থেকে এলাকার আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রণ সহ তার দায়িত্ব শতভাগ সফল ভাবে পালন করেও যে, আন্তরিকতা ও মানবপ্রেম মন জয় করতে পারে তার এক জলন্ত প্রমাণ আমাদের ওসি মো. মনজুর কাদের ভূইয়া।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূইয়া বলেন, আইনের সেবক হয়ে জনতার সারিতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবো, প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথা গুলি বলতে পারবে ঠিক তেমন ভাবে আমি চকরিয়া বাসির জন্য কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ। একজন সাধারণ মানুষ যখন আইনের সেবকদের কাছে ন্যায় বিচার পাবে ঠিক তখনি মানুষের মাঝে পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস জেগে উঠবে। আমি মনে করি সাধারণ মানুষ যখন আমাদের কাছে আসতে পারবে ঠিক তখনি তারা অন্ধকার জীবন থেকে আলোর পথে ফিরে আসবে, একজন পুলিশের কাছে সেটাও সম্ভব একজন অপরাধি কে ঘৃণার দৃষ্টিতে না দেখে আইনের মাধ্যমে তাকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখে আলোর পথে নিয়ে আসা। আমরা চেষ্টা করতে পারি তাকে ভালো করার সুযোগ দেয়ার। আপনারা আমাদের সাহায্য করুন আমরা সত্যিই মানুষের স্বপ্নের পুলিশ হতে চাই।