জীবনের প্রতিদিনের কাজ আর দায়িত্ব পালনের মাঝে কিছুটা অবকাশ মনের জন্য এক নতুন শক্তির সঞ্চার করে। আর এই অবকাশই যেন এক সোনালী অধ্যায় হয়ে ধরা দিল কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় ব্লাড ডোনার্স সোসাইটির বনভোজন ও মিলনমেলায় সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়ারছড়া মাহমুদ নগর (গর্জন বাগানে) দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী আয়োজনে ছিলো- সকাল ১১ টায় উপস্থিতি স্বাক্ষর, সকাল সাড়ে ১১. থেকে সাড়ে ১২টা পযন্ত পরিচয় পর্ব, দুপুরের খাবার, পরে অতিথি ও উপদেষ্টা’র সাংগঠনিক আলোচনা, পরামর্শ ও মতামত এবং সমাপনি বক্তব্য। আর আনন্দময়,খুনসুটি ও আড্ডা নিয়ে একটা সময়ের প্রত্যাশা আমরা মানবতার ফেরিওয়ালা, রক্তযোদ্ধা ও শুভাকাঙ্ক্ষী সেচ্ছাসেবীরা একত্রিত হয়েছিলাম।
বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলটা পাহাড়ে বেষ্টিত সেই ধারায় পাহাড়ের বাগানের গাছের সারিসারি মনোরম সৌরভ যেন আমাদের সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দিল। সকাল মানবিক যোদ্ধারা বাগানের শীতল পরিবেশে হাঁটতে ও ছবি ফ্রেমবন্দি করে যেটা প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের অবলোকন স্মৃতি হিসাবে।
অত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মিনহাজ উদ্দিন বলেন,
আমরা অত্যন্ত আনন্দ এবং গৌরবের সঙ্গে আমাদের প্রিয় সংগঠনের বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলা উদযাপন করছি। এটি আমাদের সকলের জন্য একটি বিশেষ দিন, যেখানে আমরা আমাদের সংগঠনের অর্জন, ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের দিকে তাকানোর সুযোগ পাই।
চকরিয়া ব্লাড ডোনার’স সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটি স্বপ্ন ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল উদ্দেশ্য মানুষের তরে মানবতার কল্যাণে কাজ করা, সেই সুবাধে সমাজসেবা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, মানবিক মূল্যাবোধ উন্নয়ন চেষ্টাসহ ইত্যাদি। আজ আমরা গর্বিত যে, সংগঠনটি তার কাজ ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে সেই লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে চলেছে।
এই দীর্ঘ পথচলায় আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ এসেছে, কিন্তু আমরা একসঙ্গে কাজ করে সেগুলো মোকাবিলা করেছি। সংগঠনের প্রতিটি এডমিন, মডারেটর, কার্যকরী সদস্য, সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষী রক্তযোদ্ধাদের অবদান এবং সমর্থনের কারণেই আমরা আজ এই পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। যারা প্রথম থেকেই সংগঠনের ভিত্তি শক্তিশালী করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি আমৃত্যু কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আজকের এই দিনটি শুধু বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলা উদযাপনের মধ্যে দিয়ে এটি আমাদের দায়িত্ব ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় সুযোগ হওয়া। আমাদের চাওয়া, আমাদের সংগঠন চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করুক, নতুন নতুন সেবা ও কার্যক্রম নিয়ে মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনুক। আমাদের একতা, শৃঙ্খলা এবং কাজের প্রতি অঙ্গীকারই এই লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে।
প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি একে অপরের পরিচয়, আলোচনা সভা, অতিথিদের সুন্দর পরামর্শ ও মতামত এবং লটারির বিজয়ের পুরষ্কারের মধ্যে দিয়ে আয়োজন সম্পন্ন হয়। এই স্থানে আমাদের মনকে আধ্যাত্মিক ও প্রশান্তি দেয়। সবারই একটাই আশা যেন এই সংগঠন যুগযুগান্তর পর্যন্ত চলমান থাকুক ও মানুষের সেবায় এগিয়ে যাক সেই দোয়া ও কল্যাণ কামনা করেন।
দারুণ সুশৃঙ্খল, ভ্রাতৃত্বময়, গোছালো ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে চকরিয়া ব্লাড ডোনার’স সোসাইটি পরিবারের এই বার্ষিক বনভোজন ও মিলনমেলা। এটি শুধু একটি ভ্রমণ ছিল না; বরং এটি ছিল একসাথে রিলাক্স সময় কাটানো, বন্ধন দৃঢ় করার, প্রকৃতির কাছ থেকে শিখবার এবং নিজেদের জীবনকে মানুষের তরে নিবেদিত করা সহ একটি স্মরণীয় অধ্যায় যুক্ত করার সুযোগ অত্র সংগঠনের।
চকরিয়া ব্লাড ডোনার’স সোসাইটি( Chakaria Blood Donor’s Society) পরিবারের পাশে থাকবেন, দোয়া করেবন ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনাতে সহযোগিতা অবহৃত রাখবেন।
পরিশেষে অত্র সংগঠনের যাদের সহযোগিতা ও উপস্থিতি এবং পরিশ্রম সুচারুভাবে আয়োজন সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে সেইসকল মধ্যে অত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মিনহাজ উদ্দিন, এডমিন আব্দুল হামিদ, মিনারুল হক ছোটন, ইব্রাহিম রাসেল, আরিফুল ইসলাম তুহিন, মডারেটর মোহাম্মদ শাকিল, ফজলুল করিম, শওকত ওসমান, শহিদ, সাঈদ, রাসেলা রানা, আরমান, মঈন, কার্যকরী সদস্য রায়হান, আদেশ, রাব্বি, ইমরান,নজরুল, টিটু,সাইজুদ্দীন, সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীসহ প্রমূখ কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করতেছি।