সোমবার , ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজার

ভাঙন আতঙ্কে ‘মাতামুহুরি’র পাড়ের মানুষ

কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় মাতামুহুরি নদী’র পাড়ের ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নদীগর্ভে বসতবাড়ি ও ফসিল জমি বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা। ভাঙনরোধে অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি। ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভুক্তভোগী এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন দিয়েও কোন ফল হয়নি। সম্প্রতি মাতামুহুরি নদী ভাঙনের ভয়াবহতায় আতংক হয়ে পড়েছেন।

রোববার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চকরিয়ায় টানা ভারী বর্ষনে মাতামুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মাতামুহুরি নদীর প্রবল স্রোত ও উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে বমুবিলছড়ি, সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, সাহারবিল, ফাঁসিয়াখালী, কোনাখালী, পূর্ব বড় ভেওলা, বিএমচর ও পৌরসভার বিশাল অংশ ইতিপূর্বে বিলীন হয়েছে । এসব এলাকার কয়েক হাজার পরিবার এখনো ভাঙ্গন ঝুঁকিতে রয়েছে।

বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় ব্লক দেবে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে এবং রক্ষাবাঁধ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্ষায় পানি বাড়ায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। এছাড়া এলাকার ফসলি জমি,ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে বাসিন্দা মাষ্টার নজির আহমেদ বলেন, টানা ভারী বৃষ্টি পানি, পাহাড়ের ঢলের পানিতে আমার ৪০ ফুট বসতবাড়ীর ভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। যেভাবে নদী ভাঙছে তাতে বাড়ি নিয়ে চিন্তায় আছে। নদীর পাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে।

ওই এলাকার নাজমুল সাকিব তানিম বলেন, প্রভাবশালী একটি মহল মাতামুহুরি নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে ইতিমধ্যেই কয়েকশত বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। ফসিল জমি বিলীন হয়ে গেছে। বালু উত্তোলন বন্ধে প্রতিবাদ করলে দেওয়া হয় হুমকি ধামকি।

বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী অরুপ চক্রবর্তী বলেন, মাতামুহুরি নদীর পাড়ের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।”


সম্পর্কিত খবর

Flight Centre

Demo Description

This will close in 20 seconds