রবিবার , ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজার

আদেশ অমান্য করে পুনরায় সুগন্ধা পয়েন্টের বালিয়াড়ি দখল

দেশের পটপরিবর্তের সুযোগে সুগন্ধা সমুদ্র সৈকতে শুরু হয় আইন ভাঙনের খেলা। কিছুদিন আগেও যেখানে ছিল রং বিরংয়ের ছাতা দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ছাতা মার্কেট, চলতো ঝিনুক ব্যবসাও।


কিন্তু সেখানে একটা চক্র গড়ে তুলছে স্থায়ী স্থাপনা যা জেলা প্রশাসন এবং হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে যাচ্ছে দখলবাজ চক্রটি।

কক্সবাজারে আগত পর্যটকেরা বলছেন, সমুদ্র সৈকতের জনপ্রিয় স্থান হচ্ছে সুগন্ধা পয়েন্ট। কিন্তু এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ঝুপড়ি দোকান, ভ্রাম্যমান দোকানের কারণে এই পয়েন্টটি জনপ্রিয়তার পাশাপাশি সৌন্দর্য্য হারাতে যাচ্ছে। দ্রুত ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ করে এই সমুদ্র সৈকতকে রক্ষা করা দরকার বলে মতামত দিয়েছে তারা

২০২২ সালে সুগন্ধা, লাবনী, কলাতলী পয়েন্ট থেকে হাইকোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করে ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছিল এবং পরবর্তী জেলা প্রশাসনের কার্ডধারী উক্ত হকারদের ভ্যান নিয়ে অস্থায়ী বৃত্তিতে বসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। উক্ত ভ্যান গুলো সন্ধ্যায় বসতো আর রাতে সৈকত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ভ্যানসহ চলে যেত কিন্তু পুনরায় এখন দখলে নিয়েছে সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি। যার ফলে শ্রীহীন হয়ে যাচ্ছে সমুদ্র সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলো।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা শাখার সংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এইচএম নজরুল ইসলাম বলেন, এটা নতুন কিছু নয় সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে যারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাতারাতি এসব স্থাপনা গড়ে তুলে।

আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন বলেন, সুগন্ধা পয়েন্টে একটি সিন্ডিকেট হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করাসহ জেলা প্রশাসনের সাথে লুকোচুরি খেলছে দীর্ঘদিন ধরে। এভাবে ওরা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি বিক্রি করে।

সচেতন মহলের দাবী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে দ্রুত এসব ঝুপড়ি দোকান উচ্ছেদ করা দরকার। “


সম্পর্কিত খবর

Flight Centre

Demo Description

This will close in 20 seconds