স্বৈরাচারীর স্বৈরশাসনে দেশের বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত কর্মীরা যখন দিশেহারা কোনঠাসা সেই সময়ে সগৌরবে এলাকা দাপিয়ে বেড়িয়েছে বিএনপি নেতা মনির উদ্দীন প্রকাশ সীকুইন মনির। দলীয় আদর্শ ও নিজের ব্যাক্তিত্ব বিলিয়ে দিয়ে নৌকা তথা আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রচারনায় নিয়োজিত ছিলো সবসময়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পথ ধরে দেশ হতে স্বৈরশাসকের পতনের মধ্যদিয়ে গত ৫ আগষ্ট দেশে স্বাধীনতার নতুন সূর্য উদয় হয়েছে। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান এর পরে বিগত আমলের কোনঠাসা রাজনৈতিক দল গুলো নতুন করে দল গোছাতে কাজ করছে তৃনমুল পর্যায়ে। সেই ধারাবাহিকতায় দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এরইমধ্যে শুনা যাচ্ছে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন এর ১ নং ওয়ার্ডের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা। এ নিয়ে কানাঘুষা চলছে কে হতে পারে আগামী তিন বছরের জন্য সভাপতি। সভাপতি প্রার্থী হিসেবে বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় আসলেও সবথেকে গুঞ্জন উঠেছে মনির উদ্দীন প্রকাশ সীকুই মনির এর নামটি। তার লবিং টি নাকি জেলার শীর্ষ পর্যায়েও রয়েছে। যে কোন ভাবে ম্যানেজ করে তিনিই হতে চান আগামীর ঝিলংজা ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্ণধার। অথচ তিনিই সব থেকে বেশি বিতর্কিত বিএনপি কর্মী।
বিগত স্বৈরশাসক এর আমলে প্রতিটা নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ এর একক প্রার্থীর জন্য কাজ করেছেন প্রকাশ্যে। মসজিদে ঢুকে শপথ করে নৌকাকে বিজয়ী করার এবং তাদের পক্ষে কাজ করার কথা লোকেমুখে। অথচ প্রতিটা নির্বাচনে তাদের দলীয় প্রার্থী ও ছিলো ভিন্ন প্রতীক নিয়ে মাঠে।তার এহেন কর্মকান্ডে খোদ আওয়ামী কর্মীরা ও বিব্রত ছিলো তার এলাকায়। এই মনির উদ্দীন প্রকাশ সীকুইন মনির এর দলীয় কর্মীদের নৌকা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনা চালানোর বিশেষ নির্দেশনা দিতেন তিনি। নিজের একক খরচে নৌকা মার্কার প্রার্থীর ১ নং ওয়ার্ডের দলীয় নির্বাচনী অফিস চালাতেন বলে ও এলাকায় চাহুর আছে। তার এলাকার বিএনপির কোন কর্মী নৌকার পক্ষে কাজ না করলে তার ইন্ধনে চলতো হয়রানী ও শারীরিক নির্যাতন। বিগত আমলে দলের আদর্শ বিকিয়ে দিয়ে আয় করেছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। এখন সেই টাকা দিয়ে ঝিলংজা ইউনিয়ন এর ১ নং ওয়ার্ডের আগামী সম্মেলনে নিজেকে সভাপতি করার জোর তদবীর করছেন বলে জনমনে গুঞ্জন উঠেছে। “
বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদককে মনির উদ্দীন জানান আমাকে তখন বাধ্য করে নৌকার নির্বাচনী প্রচারনায় নিয়ে গিয়েছিলো যার সব কিছু লুৎফর রহমান কাজল ভাই জানেন। আমি কক্সবাজার সরকারী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি ও জেলা যুবদলের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এর দায়ীত্ব পালন করি। আমার রক্তের সাথে বিএনপি মিশে আছে।আমি যাই করি সব লুৎফর রহমান কাজল ভাইকে জানিয়েই করি। সমাজের স্বার্থে তিনি নৌকার নির্বাচনী প্রচারনায় অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানান।”