কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাত্র তিনদিন আগেই হুমায়ুন কবির ওরফে লোকমান নামের যুবকের ‘বিয়ের পিঁড়িতে বসার স্বপ্ন’ কেড়ে নিলো ঘাতক বাস। মোটর সাইকেল নিয়ে বেরও হয়েছিলেন বিয়ের কাজে। কিন্তু যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় যবনিকা ঘটলো তার সেই স্বপ্নের।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ওই যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বালুচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত হুমায়ন কবির ওরফে লোকমান (৩০) চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বালুচর এলাকার বশির আহমদের ছেলে। তিনি মালুমঘাট খ্রিশ্চিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিরাপত্তা কর্মি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের চাচাতো ভাই রেজাউল করিম বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার এক তরুণীর সঙ্গে হুমায়ুন কবির ওরফে লোকমানের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। কাপড়-চোপড় ও স্বর্ণালংকার সহ বিয়ের অন্যান্য জিনিসপত্র কেনাকাটাও তার শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের নিমন্ত্রণের কাজও প্রায় সম্পন্ন। শুক্রবার সকালে বাড়ী থেকে মোটর সাইকেল বের হয়েছিলেন বিয়ের বাকি কাজগুলো সারতে। কিন্তু যাত্রীবাহী ঘাতক বাস চাপায় থেমে গেলো হুমায়ুনের সেই স্বপ্ন।
তিনি বলেন, “ শুক্রবার সকালে বাড়ী থেকে হুমায়ুন মোটর সাইকেল নিয়ে চকরিয়ার স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বালুচর এলাকায় পৌঁছলে মোটর সাইকেলটিকে কক্সবাজারমুখি যাত্রীবাহী একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে মোটর সাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মালুমঘাট খ্রিশ্চিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। “
হাইওয়ে পুলিশের মালুমঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মেহেদী হাসান বলেন, খুব সকালেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় মোটর সাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছে। আপত্তি না থাকায় মৃতদেহ বিনা ময়নাতদন্তে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে বিয়ের মাত্র তিনদিন আগে হুমায়ুন কবিরের মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।