
রাজু দাশ (চকরিয়া প্রতিনিধি)
কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় এক প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির তান্ডব। ভয়াবহ ঘটনার চিত্র তুলে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রবাসীর স্ত্রী রুবি দাশ। তার সঙ্গে অঝোরে কাঁদলেন মেয়ে সুপ্তি দাশ।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে থানার ৩০ গজ অদূরে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাটাখালী এলাকায় সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল)’র কার্যালয়ের সামনে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাত দল বাড়ির কর্তব্যরত নৈশ প্রহরীর রুবিন্দ্র দাশক
ছুরি ঠেকিয়ে ওই বসত বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়ে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা রুপার অলংকারসহ মালামাল লুটে নিয়েছে বলে জানান প্রবাসী স্ত্রী রুবি দাশ।
তিনি জানান, ডাকাতদের আক্রমণে ভয়ে নিরাপত্তার খুঁজে থানা কয়েক গজে আমার স্বামী প্রবাসী শ্রীমন্ত দাশ পরিবারের সদস্যদের থাকার জন্য বাড়ি নির্মাণ করেন। এছাড়াও বাড়ি পাহারাদার ব্যবস্থা করা হয়। আর সেই বাড়িতে ডাকাতির তান্ডব চালায়।
শুক্রবার পরিবারের এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে রাতের খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে যান। মধ্যরাত ২ টার সময় হঠাৎ বাড়ির নৈশ প্রহরীর রুবিন্দ্র দাশ বাড়ির দরজাটা খুলতে বলেন। তিনি অসুস্থবোধ করছেন মনে করে কথা বলার জন্য দরজা খুলতে ৫-৬ জন ডাকাত দল বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আলমারিতে থাকা নগদ ১২ হাজার টাকা ৩ ভরি স্বর্ণালংকার স্বর্ণালংকার, ২ টি মোবাইল,রুপাঙ্কারসহ ৬ লক্ষ টাকা লুট করে নেয়।
এই ঘটনায় শ্রীমন্ত দাশ মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান, গত রাতে ডাকাতির ঘটনার পর তাঁর পরিবারের দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। হটাৎ এমন কোন ঘটনা তারা মানতে পারছেন না। তাদের শিশু-কিশোরদের ভয় ও আতঙ্ক এখনো কাটেনি। আজ সারাদিন ছেলে-মেয়েগুলো অস্বাভাবিক আচরণ করছে।
এ ঘটনার ডাকাতদের গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক।
প্রবাসী শ্রীমন্ত দাশের মেয়ে সুপ্তি দাশ জানান, বাড়ির নৈশ প্রহরীকে ছুরিকাঘাত করে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে। প্রথমে তারা আমার মাকে রাম-দা দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করলে আমার মা চিৎকার দিয়ে উঠলে আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমি রুম থেকে মায়ের রুমে আসতে ৫- ৬ জন ডাকাতরা একে একে বাড়ির সবাইকে বেঁধে ফেলে মোবাইলগুলো নিয়ে নেন।এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ভয় দেখিয়ে ছিনিয়ে নেয়। আলমারীর চাবি নিয়ে নগদ টাকা ও সোনার গহনা লুট করেন।
তিনি বলেন, তারা ঘন্টা ব্যাপী তান্ডব ও ডাকাতি চালায়
ডাকাতদের বয়স থেকে ২৫-৩০ বছরের মধ্যে হবে। মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। তারা যাওয়ার সময় হুমকী দিয়ে বলে গেছে এ ঘটনা কাউকে বললে পরবর্তীতে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে এই বিষয়ে থানা পুলিশকে অবগত করলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনুজর কাদের ভূইয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সরজেমিন পরিদর্শন করেন। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করতে এবং গ্রেপ্তার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।