শনিবার , ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজার

প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে সৈকতে ‘মিলন মেলা’

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে দেশের ‘সর্ববৃহৎ’ প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। এই বিসর্জন অনুষ্ঠানকে ঘিরে জেলাজুড়ে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রোববার দুপুর থেকে সৈকতের লাবণী পয়েন্টের উন্মুক্ত মঞ্চে বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠান শুরু হয়। কক্সবাজার জেলা ও আশপাশের এলাকার অর্ধশতাধিক মণ্ডপের প্রতিমা আসতে শুরু করে সৈকতে। বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে শুরু হয় বিসর্জন দেয়া। যা ঘিরে পর্যটক ও পূজারি মিলে লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম ঘটে সৈকতে। হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মসহ সকল ধর্মের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় সৈকত এলাকা।

কক্সবাজারে পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, পূজারি মিলে লাখেরও বেশি মানুষের সমাগম হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন উৎসব নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন সবরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছে। প্রতিমা বিসর্জনে দুর্ঘটনা এড়াতে মহড়ায় থাকবে নৌবাহিনীর সোয়াটস কমান্ড।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর উদয় শংকর পাল মিঠু বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। পূজারিরা আসতে শুরু করেছে। ২টার দিকে অনুষ্ঠানের স্থলে প্রতিমা আনা হয়।

নির্বিগ্নে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে জানিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের এই নেতা আরও বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবছরও উৎসবমূখর পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জন দিতে পেরেছি। তাতেই সবাই অনেক খুশি।

কক্সবাজার পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক দীপক শর্মা দীপুর সঞ্চালনায় বিসর্জন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ‘জেলা প্রশাসক মো. সালাউদ্দিন, কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সাংসদ লুৎফর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্নাসহ অন্যান্যরা।”


সম্পর্কিত খবর

Flight Centre

Demo Description

This will close in 20 seconds