
কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মধ্যম নয়াপাড়া এলাকায় যুবদল নেতার হুমকিতে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধা হাজেরা বেগম। অভিযুক্ত মাহমুদ হোসেন ওরফে মাছন কক্সবাজার সদর উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
আদালতে দায়েরকৃত এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ‘পিএমখালী ইউনিয়নের মধ্যম নয়াপাড়া এলাকার জিয়াবুল হক নিজ জমির সীমানা প্রাচীর দিতে গেলে যুবদল নেতা মাহমুদ হোসেন ওরফে মাছন, হাসান ওরফে হাসন ও হোসেনসহ কয়েকজন তাদের বাধা প্রদান করেন। ৫ আগষ্টের আগে তাদের এই জমি নিয়ে কোন অভিযোগ না থাকলেও এখন সরকার পরিবর্তনের সুযোগে তারা জমি দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযযোগ ভুক্তভোগী হাজেরা বেগমের পরিবারের।
মামলার বাদী জিয়াবুল হক বলেন, ‘ সুলতান আহমেদের ছেলে যুবদল নেতা মাহমুদ হোসেন ওরফে মাছন ৫ আগষ্টের পর থেকে জমি দখলের উদ্দেশ্যে আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। তার বিরুদ্ধে বিচার দিয়েছিলাম, বিচারের সিদ্ধান্ত না মেনে আমার মায়ের উপর হামলা করে। আমাদের পানি চলাচলের লাইন বন্ধ করে দেয়ায় পরিবারের কেউ প্রস্রাব বা গোসল থেকে শুরু নানা বিষয়ে চরম দুর্ভীসহ জীবন-যাপন করছি।
গেল ৮ সেপ্টেম্বর প্রভাব কাটিয়ে বৃদ্ধা হাজেরা বেগমকে হুমকি-ধামকি ও এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। যখন তিনি ও তার সন্তানরা চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত তখন এই যুবদল নেতা তাদের চলাচলের রাস্তা ও পানির ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেন। বিভিন্ন স্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও ভয়ে কেউ কোন ব্যবস্থা নেননি।
ভুক্তভোগী হাজেরা বেগম বলেন, ‘মাছন প্রতিদিন হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। তার ভয়ে বাড়ির বাহিরে বের হতে পারছি, কিছু বলার আগেই তেড়ে আসেন। আমি প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছি।
মামলাটি আদালতে বিচারাধীন হলেও যুবদল নেতা মাছনের বন্ধ করে দেয়া পানির লাইনের কারণে চরম দুর্ভীসহ জীবন-যাপন করছে হাজেরা বেগমের পরিবার। তাই দ্রুতে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা।
তবে, অভিযুক্ত মাহমুদ হোসেন ওরফে মাছন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, ‘তিনি কোন পানির লাইন বন্ধ করেননি। বৃদ্ধা হাজেরা বেগম কিসের আঘাতে আহত হয়েছে তিনি জানেন না। পানির লাইন বন্ধ করার বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন।
যদিও, প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পান, মাছন ও তার পরিবারের লোকজন জিয়াবুলদের পানির লাইন বন্ধ করে দিয়েছেন। তেড়ে এসে বিভিন্ন গাল-মন্দ করছেন। “