বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজার

বিদেশ যাওয়ার টাকার জন্য ভাতিজিকে অপহরণ

কক্সবাজারের রামু থানাধীন ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসের চর সিকদারপাড়া এলাকার হাসনাইনুল হক ওরফে নাঈম। ২৩ বছর বয়সী যুবক বিদেশ যাওয়ার জন্য পরিবারের কাছে টাকা চান। পরিবার টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করায় অপর বন্ধু শাহীনকে নিয়ে নিজের আপন ভাতিজি আফিয়া জান্নাত আরোয়া (৮) কে অপহরণের পরিকল্পনা করেন।

তারই অংশ হিসেবে গেল ১০ নভেম্বর মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে রামু থানাধীন ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসের চর সিকদারপাড়া এলাকার এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা গেইটের সামনে থেকে আফিয়া জান্নাত আরোয়াকে অপহরণ করে নাঈম ও তার বন্ধু শাহীন।

গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহৃত আরোয়াকে উদ্ধার ও তার চাচা অপহরণকারী হাসনাইনুল হক ওরফে নাঈম এবং তার সহযোগী মোঃ শাহীনকে গ্রেপ্তার করে কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর সদস্যরা।

গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহাকরী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ‘রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসের চর সিকদার পাড়া এলাকার নুরুল আবছারের ছেলে নাঈম ও একই ইউনিয়নের পূর্ব দ্বীপ এলাকার আব্দুস ছোবহানের ছেলে শাহীন। এরমধ্যে নাঈম অপহৃত আফিয়ার আপন চাচা।

র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহাকরী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘১০ নভেম্বর মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে রামু থানাধীন ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসের চর সিকদারপাড়া এলাকার এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা গেইটের সামনে থেকে আফিয়া জান্নাত আরোয়াকে সিএনজিযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারপর ভিকটিমের পরিবার জানতে পেরে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধারের লক্ষে উক্ত ঘটনাস্থল এবং তার আশপাশের এলাকায় খোঁজাখুজি করেন। এক পর্যায়ে ওইদিন বেলা ১১ টার দিকে আফিয়ার মায়ের মোবাইল ফোনে কল করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়। মুক্তিপণের টাকা না দিলে অপহৃত শিশুটিকে মানব পাচারকারীর মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশে পাচার করে দিবে অথবা খুন করে লাশ গুম করে ফেলা হবে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।

১১ নভেম্বর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রামু থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। তারই সুত্র ধরে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‍্যাব। এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের শনাক্তের পর ১২ নভেম্বর রাতে অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিম আফিয়া ও অপহরণকারী তার চাচা নাঈম ও শাহীনকে গ্রেপ্তা করা হয়।

র‍্যাব-১৫ এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মামলা হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে র‍্যাব তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে অপহরণকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বেরিয়ে আসে রহস্য। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তারকৃতদের রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। “


সম্পর্কিত খবর

Flight Centre

Demo Description

This will close in 20 seconds