বিস্তীর্ণ জলাশয় এবং ফসিল জমিতে ফুটছে কচুরিপানার ফুল। সবুজের বুক চিরে হালকা গোলাপি আর বেগুনি রঙে ফুটে আছে রাশি রাশি ফুল। দেখে মনে হবে, শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনো ছবি।
এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় বিভিন্ন খাল-বিল বা বিস্তীর্ণ জলাশয়ে দলবেঁধে সারি সারি ফুটেছে কচুরিপানা ফুল। ফুলের নির্মল ও স্নিগ্ধকর সৌন্দর্য প্রকৃতিতে যোগ করেছে নান্দনিকতা। তাই প্রকৃতি মেতেছে এখন নতুন রূপে। ফুলটি কোনো সুবাস না ছড়ালেও এর নান্দনিক রূপে মুগ্ধ প্রকৃতিপ্রেমীরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কচুরিপানা ফুলের চাদরে ঢেকে আছে খাল, বিল, পুকুর, ডোবা ও জলাশয়। এসব স্থানের যেখানেই দৃষ্টি যাচ্ছে- শুধু ফুল আর ফুল। ফুলের মুগ্ধতা ছড়ানো সৌন্দর্য উপভোগ করেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। অনেকে আবার পরম যত্নে নিজের স্মার্টফোনে তুলছেন ফুলের ছবি। অযত্নে বেড়ে উঠেও যে মুগ্ধতা ছড়ানো যায়, তার যেন এক অনন্য উদাহরণ এই কচুরিপানা ফুল।
স্থানীয়রা বলেন, দিনে দিনে বিস্তীর্ণ এ জলাশয় কিংবা বিলে কচুরিপানায় ভরে ওঠছে। প্রতি বছরই এসব জলাশয় বা বিলে অযত্ন-অবহেলায় নিজে নিজে বেড়ে ওঠছে ফুলগুলো। এক সময়ে ফোটা ফুলে মনোরম হয়ে ওঠে এলাকা। ফুলের শোভা দেখতে কিংবা অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে।
পৌরশহরে ভরামুহুরী এলাকায় মো. রুবেল উদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকার খাল, ফসিল জমিতে অনেক কচুরিপানা জন্মেছে। যেখানে বর্তমানে ফুঁটেছে ফুল। এসব ফুল দেখলে মন-জুড়িয়ে যায়। যদিও অযত্ন-অবহেলায়ই বেড়ে ওঠছে ফুলগুলো। এসব ফুলের পরিচর্যা বা যত্ন নিলে এগুলো প্রকৃতি প্রেমিদের কাছে আলাদা আকর্ষণ হয়ে ওঠতো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম নাসিম হোসেন জানান, স্রোতহীন স্বাদু পানিতে জন্মায়। মুক্তভাবে ভাসমান বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদের মধ্যে কচুরিপানা অন্যতম। সবুজ পাতাবিশিষ্ট এসব কচুরিপানা পানির ওপরে এক মিটার পর্যন্ত বড় হয়।
প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া কচুরিপানা ফুল দেখতে অনেক সুন্দর। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এই দৃশ্য নিঃসন্দেহে আনন্দের। জলজ এই বনফুল সবাইকে মুগ্ধ করবে। এই ফুল জলাশয়ে যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণই মুগ্ধতা ছড়ায়।”