সাত হাত বদলের কারণেই ডিমের দামে অস্থিরতা বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার তেজগাঁওয়ে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে সচেতনতামূলক সভায় এ কথা জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল জলিল। আরও উপস্থিত ছিলেন, অধিদপ্তরের পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারি পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল, তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আমানতউল্লাহ, সহ সভাপতি জনাব হারুন উর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হানিফ মিয়া প্রমুখ।
অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান, সাত হাত বদলের কারণেই ডিমের দামে অস্থিরতা। দাম ক্রেতার নাগালের বাহিরে চলে গেছে। আড়তে অযৌক্তিক মূল্যে বিক্রি করা হলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। এছাড়া এক লাখ ডিমে একজন ব্যবসায়ী ২০ হাজার টাকা লাভ করছেন।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা অবশ্যই লাভ করবেন। কিন্তু তা যৌক্তিকভাবে করতে হবে। তা না হলে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল জলিল বলেন, এখানে যেহেতু চাঁদাবাজি নেই তাই ডিমের মূল্য হ্রাস পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তেমনটা বাজারে দেখা যাচ্ছে না। তাই তিনি তেজগাঁও’র আড়তদারদের নিজস্ব পাইকারদের পাশাপাশি অন্যান্যদের জন্যও ডিম প্রদানের অনুরোধ করেন।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে ডিম কিনতে হয়। সরাসরি ফার্ম থেকে কেনা যায় না। এই ক্রয়-বিক্রয়ে পাকা রশিদও পাওয়া যায় না। ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রি করে। তাই সরাসরি ফার্ম থেকে ডিম কিনতে পারলে ও সরকার নির্ধারিত দামে পেলে, রাজধানীতেও কমবে ডিমের দাম। পাশাপাশি ন্যায্য মূল্যে ডিম বিক্রি সম্ভব হবে।
এ সময় তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, নির্ধারিত দাম ফার্ম পর্যায়ে কার্যকর করলে আড়ত পর্যায়ে দাম কমবে।