কক্সবাজারের টেকনাফে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত কিশোরকে তিনদিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ; এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হয়েছে অপহরণকারি চক্রের দুই সদস্য।
সোমবার ভোরে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান, টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
গ্রেপ্তাররা হল, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া করাচি পাড়ার হাসান আলীর ছেলে পারভেজ মোশারফ (১৯) এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী পাড়ার মনির আহমেদের ছেলে নুরুল আফছার (১৯)।
উদ্ধার হওয়া কিশোর মোহাম্মদ হামিম (১৫) উখিয়া উপজেলার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নুরুল আমিনের ছেলে।
ঘটনায় দায়ের মামলার নথির বরাতে গিয়াস উদ্দিন বলেন, গত শুক্রবার ( ৪ অক্টোবর ) দুপুরে জুমার নামাজ আদায়ের উদ্দ্যেশে মোহাম্মদ হামিম ঘর থেকে বের হয়। নামাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে পূর্ব পরিচিত জনৈক যুবক মোহাম্মদ সেলিম সাথে দেখা হয়। পরে তাকে ( হামিম ) ফুসলিয়ে সেলিম টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যান। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যার পরও হামিম বাড়ী না ফেরায় স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে সন্ধান পাননি।
“ পরদিন শনিবার ( ৫ অক্টোবর ) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কল দিয়ে হামিমের মাকে জানায়, তার ছেলে অপহরণকারিরা জিন্মি করে রেখেছে। এসময় তাকে ছেড়ে দিতে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি অপহৃতের মা টেকনাফ থানায় এসে অবহিত করেন। “
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে ভূক্তভোগী কিশোরের মা সাবেরা বেগম বাদী হয়ে মোহাম্মদ সেলিমকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা করেন বলে জানান ওসি।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, “ ঘটনাটি পুলিশ অবহিত হওয়ার পর অপহৃতকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তায় দূর্বৃত্তদের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এ তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ভোরে পুলিশের একটি দল টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় অভিযান চালায়। এতে জনৈক মোহাম্মদ ফয়সালের সন্দেহজনক বসত ঘরটি ঘিরে ফেললে ৪/৫ জন লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ধাওয়া দিয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। “
মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।”