সংহতি ও সম্প্রীতি দমন আর শিষ্টের প্রতিষ্ঠা, দুষ্টের পালনে বিশ্বব্যাপী মঙ্গল ধ্বনির সুরে সুরে মা দূর্গা দেবীর এসময়ে পৃথিবীতে আগমন ঘটে। আসুরিক অপশক্তির বিনাশ আর শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি লাভের জন্য হিন্দু সম্প্রদায় মা দূর্গার আরাধনা করে আসছে যুগ যুগ ধরে।
বুধবার থেকে অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে সনাতনী হিন্দু সাম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। চারিদিকে সাজ সাজ রব, মৃতশিল্পীরা ব্যস্ত রয়েছেন প্রতিমার শেষ রূপ ফুটিয়ে তুলতে। পূজা মন্ডপ বর্ণিল রঙে আলোকসজ্জা আসন সজ্জা প্রায় শেষ। কক্সবাজারে এবার ৩২১টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। নতুন পূজামন্ডপ ৬টি।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি রতন দাশ জানান, ‘এবছর কক্সবাজারে ৩২১টি পূজা মণ্ডপের উদযাপিত হবে। ১৫০টি প্রতিমা পূজা ও ১৭১টি ঘট পুজা। কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৩২টি, কক্সবাজার পৌর এলাকায় ১২টি, রামুতে ৩৬টি, চকরিয়ায় পৌর এলাকাসহ ৮৯টি, পেকুয়ায় ৯টি, কুতুবদিয়ায় ৪৫টি, মহেশখালী পৌর এলাকাসহ ৩৪টি, উখিয়ায় ১টি, উখিয়া কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১টি ও টেকনাফ উপজেলা (পৌর এলাকাসহ) ৬টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ৮ অক্টোবর অধিবাসের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়ে, ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহ- সপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী, ১২ অক্টোবর মহানবমী, ১৩ অক্টোবর, বিজয়া দশমী প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গাপূজার শেষ।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সিন্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি পূজা মন্ডপে ভক্তিমূলক ও ধর্মীয় গান ছাড়া অপ্রাসঙ্গিক গান বাজনা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রাখা, প্রত্যেক মন্ডপে আইন শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছসেবকটিম দিনে ও রাতে দায়িত্ব পালন করা, আযান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। যেসব ক্ষেত্রে খোলা জায়গায় অস্থায়ী প্যান্ডেলে দুর্গাপূজা করা হবে সে ক্ষেত্রে সরকার নির্দেশিত বিধি বিধান মেনে সকলের সাথে সমন্বয় করে পূজা আয়োজনের ব্যবস্থা করা।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, মণ্ডপগুলোতে আগের তুলনায় এবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এজন্য স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গোয়েন্দা নজরদারি করবে সাদা পোশাকধারী পুলিশ।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘দূর্গাপূজা উপলক্ষে কক্সবাজারের বিভিন্ন পুজামন্ডপে নাশকতা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরিকল্পনাকারীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। অতিরিক্ত টহল জোরদার করবে র্যাব। “