কক্সবাজার সদর উপজেলায় স্বৈরাচার সরকারের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল যে সব করেছেন তারমধ্যে অন্যতম জমি দখল। সদর কেন্দ্রিক জমি দখলের কমলের অন্যতম সহযোগী ছিলেন খুরুশকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক নুরুল আমিন। তারবাড়ি খুরুশকুল হলেও তিনি দখল করেছেন পৌর শহরের একের পর এক জমি।
আর এসব দখলবাজিতে হুইপ কমল ছাড়াও সিনিয়র আওয়ামীলীগ নেতাদের ব্যবহার করতেন। তাদের দাম্ভিকতায় নুরুল আমিন নিজেকে গড়ে তুলেন কমলের বিশ্বস্ত সহযোগী ও দখলবাজ হিসেবে। তারই সুবাধে গেল ৫ আগষ্টের গণ অভ্যুত্থানের আগে ছাত্র-জনতার গুলিবর্ষণের সময় হুইপ কমলকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও অস্ত্র-গুলি সরবারহ করার অভিযোগ উঠেছে।
খুরুশকুল ও সদরের একাধিক ভুক্তভোগী জানান, ‘বছর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একচ্ছত্র ক্ষমতা আর এমপি কমলের ঘনিষ্টজন হওয়ার সুবাধে খুরুশকুলের নূরুল আমিন দখলে রেখেছেন আপন ভাইয়ের জমি ও ঘরবাড়ি। প্রবাসী বদিউল আলম ১৯৮৬ সালের ২৯ নভেম্বর কক্সবাজার শহরের ১১ নং ওয়ার্ড ঝাউতলা থেকে ৫ শতক জমি ক্রয় করেছিলেন। যার রেজিষ্ট্রি দলির নং-৪৭৪৮। এই জমির উপর টমটমের গ্যারেজ ভাড়া দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বসতভিটায় বসবাস করে আসছেন প্রবাসী বদিউল আলমের পরিবার। ২০২২ সালের চেয়ারম্যান শাহজাহান ছিদ্দিকীর কমিটির খুরুশকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক হবার পর থেকে আরো ক্ষমতা বেড়ে যায় নূরুল আমিনের। সেই থেকে তার আপন ভাই বদিউল আলমের পরিবাররের উপর ক্ষমতা দেখিয়ে মারধর ও নানান হয়রানি করেন। এমপি কমলের ঘনিষ্টজন হওয়ায় থানা, আদালতে কোন মামলা করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান পরিবারটি।
এদিকে, রোববার রাতে নুরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। তাকে একটি মামলায় হাজির করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান সদর মডেল থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান।
খুরুশকুল ও সদরের একাধিক ভুক্তভোগীর দাবী, ‘ যে পরিমাণ অপকর্ম করেছে নুরুল আমিন সে হিসেবে তাকে কমলের সঙ্গে মামলায় হওয়ায় উচিত। একই সয্গে অধিকতর তদন্ত ও ছাত্র-জনতার উপর হামলার জন্য তাতে রিমান্ডে নেয়ার দাবী জানান তারা।