মিয়ানমার থেকে সাগর পথে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল থেকে ২১ শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ১০ টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুড়া এলাকায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ২১ শিশু,১২ নারী ও ৪ জন পুরুষ রয়েছেন। তাঁদের সবার বাড়ি মিয়ানমারের মংডু শহরের বিভিন্ন গ্রামে বলে জানা গেছে।
রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের বিষয় স্বীকার করপ টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘দালালের মাধ্যমে নৌকায় মিয়ানমারের থেকে অনুপ্রবেশকালে স্থানীয়দের সহতায় ২১ শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
উদ্ধার রোহিঙ্গা রেজিয়া বেগম বলেন, ‘আরকান আর্মি আমাদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দিছে। আরাকান আর্মি আমাদের ক্যাম্প তৈরি করতে বলছিল। আমাদের গ্রামে বিমান হামলা করে এতে অনেকেই মারা যাচ্ছে। তাই প্রাণে বাঁচতে মিয়ানমার নাফ নদী তীরে আসি। সেখানে একটা নৌকা নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করি। আমাদের প্রতিজন ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে দালালরা।’
ফাতেমা বেগম (৫০) বলেন, ‘আমাদের বেশি জুলুম নির্যাতন করতছে আরকান আর্মি। আমাদের সামনে অনেক মানুষকে ড্রোন দিয়ে হত্যা করছে। টাকা পয়সা গহনা কেড়ে নিয়ে ফেলছে।তাই বাধ্য হয়ে নাফ নদী কিনারে গিয়ে কান্না করলে একটি নৌকা আমাদের তুলে নিয়ে বাংলাদেশে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমহাদ হোসেন খোকন বলেন, ‘ দালাল চক্রের সদস্যরা টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে একটি রোহিঙ্গা নিয়ে আসেন। পরে তাদের সমুদ্রের তীরে নামিয়ে দেয়। এদের মধ্য বেশির ভাগই শিশু। তাদের প্রাথমিকভাবে খাবার সহতায় দেয়া হয়েছে।”