বঙ্গোপসাগরের সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে মাছ ধরতে যাওয়া বাংলাদেশী ফিশিং ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করেছে মিয়ানমারের নৌ বাহিনী। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও ৩ জেলে। ঘটনায় ৬০ মাঝি মাল্লা সহ ৪ টি ফিশিং ট্রলার অপহরণ করে মিয়ানমারের নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে ৫০ কিলোমিটার দূরে সাগরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।
মি. আদনান চৌধুরী জানান, ‘সেন্টমার্টিন এর কাছে মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশি জেলে নিহত। দুইজন গুলিবিদ্ধ। ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। কোস্ট গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে। ফিরে আসলে বিস্তারিত জানানো হবে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘তাঁর এলাকা ৬টি ট্রলার সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায়, এসময় মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলি বর্ষন চালায়। এতে একজন মারা যায়। এছাড়া আরো দুই জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পেয়েছি।’
ট্রলার মালিক সাইফুল জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌ বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ করে। যেখানে তার মালিকাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধ ৪ জনের মধ্যে একজন মারা যায়। বৃহস্পতিবার ওই ট্রলারটি ছেড়ে দিয়েছে। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীরদ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা দিয়েছে। তবে এখনও ঘাটে এসে পৌঁছেনি।
এ ব্যাপারে বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, ‘ সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমারের সীমান্তে নৌ বাহিনীর গুলিতে এক নিহত এবং আরও দুই জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় বিস্তারিত খেঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।’
কোস্টগার্ডের শাহপরীরদ্বীপের দায়িত্বরত কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ না করে) বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ট্রলারটি ঘাটে আসার অপেক্ষায় আছি। ঘাটে আসার পর জানা যাবে। একই সঙ্গে অপর ৪ টি ট্রলারও ছেড়ে দিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে। “