দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্টিত হবে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিতে সমুদ্র শহরে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ২ থেকে ৩ লক্ষাধিক পর্যটক সমাগমের সম্ভবনা রয়েছে। তিন দিনে দৈনিক এক লক্ষাধিক পর্যটক আসতে পারে বলে আশংকা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
দূর্গাপূজার টানা চারদিনের ছুটিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা আসতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটছে। সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও কটেজের মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ বুকিং হয়ে গেছে।
বেড়াতে আসা পযটকরা সমুদ্রসৈকত ছাড়াও দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি পাহাড়-ঝরনা, ইনানী ও পাটোয়ারটেক পাথুরে সৈকত, রামুর বৌদ্ধপল্লি, মহেশখালী আদিনাথ মন্দির ও চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কসহ পযটন স্পটগুলো ভ্রমণ করছেন। সৈকতের নিরাপত্তা নিয়েও সন্তুষ্ট পযটকরা।
কড়া নিরাপত্তায় ঢাক- ঢোল বাজিয়ে কক্সবাজারের মন্দির গুলোতে চলছে প্রার্থনা। অসাম্প্রায়িক চেতনায় বিশ্বাসী সনাতন ধর্মের পূজারীরাও সারাদেশের মানুষকে সৈকতের দক্ষিন এশিয়ার বৃহৎ বিসর্জন অনুষ্টানে অংশ নেয়ার আহব্বান জানান।
পর্যটনের মন্দাভাব কাটিয়ে ব্যবসায়ীরাও লাভের প্রত্যাশায় দিন গুনছেন তাই বেড়াতে আসা পযটকদের সেবা দানে প্রস্তুত পযটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
সমুদ্রের শহর কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সমুদ্রসৈকতসহ জেলার প্রতিটি স্পটে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি রেখেছে প্রশাসন।
দূর্গাপূজার বিজায়া দশমিতে প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে জনসমুদ্রে রূপনেয় সৈকতের লাবনী-সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে। প্রশাসন সহ পযটন সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ চেষ্টা বেড়াতে আসা পযটনরা যেন নিরাপদে ভ্রমন শেষে বাড়ি ফিরতে পারেন। “