কক্সবাজারের টেকনাফে সেন্টমার্টিন দ্বীপের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা অবস্থায় ছয়টি ট্রলারসহ ৫৮ জেলে ভুলবশত মিয়ানমার জলসীমায় ঢুকে পড়েছিল; এ নিয়ে মিয়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিড বোট থেকে ওই ট্রলারগুলোকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে ৩ জন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। এতে গুলিবিদ্ধদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলে মারা।
শুক্রবার দুপুরে কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ০৬ অক্টোবর টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ জেটি ঘাট হতে ০৬ টি মাছ ধরার ট্রলার ৫৮ জন জেলেসহ গভীর সাগরে মাছ ধরার উদ্দ্যেশে রওনা হন। গত ০৯ অক্টোবর সেন্টমার্টিন হতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা অবস্থায় ভুলবশতঃ তারা মিয়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করে।
এসময় মায়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত একটি স্পিড বোট থেকে ওই ট্রলার সমূহকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে তিনজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুলিবিদ্ধদের মধ্যে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ক্যাপ্টেন জহিরুল হক বলেন, “ মিয়ানমার নৌবাহিনী অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ট্রলারসহ জেলেদের আটক করে নিয়ে যায়। পরে বঙ্গোবসাগরে টহলরত কোস্টগার্ডের জাহাজ তাজউদ্দিন বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর মিয়ানমার নৌবাহিনীর টহলরত জাহাজ এর সাথে যোগাযোগ করে। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে ও বিকালে প্রযোজনীয় সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে আটককৃত জেলেদের ফিরিয়ে আনে। “
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃতসহ ১১ জেলেদের বহনকারি ট্রলারটি কোস্টগার্ডের সহায়তায় শাহপরী দ্বীপ জেটি ঘাটে এসে পৌছায়। পরে বিকাল সাড়ে ৫ টায় অপর ০৫ টি ট্রলার ৪৭ জন জেলেসহ বিসিজিএস তাজউদ্দিন এর নিকট হস্তান্তর করা হয়। এসব জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবার সরববারহ করা হয় এবং কোস্ট গার্ড আউটপোস্ট শাহপরী কর্তৃক সকলকে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
টেকনাফে জোনাল কমান্ডার কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন ক্যাপ্টেন মো. জহিরুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “ সীমান্তের কাছাকাছি এই ধরনের গুলিবর্ষণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। যত শীঘ্রই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারে প্রতিবাদ লিপি প্রদান করা হবে।”