বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত এক হাজার ১৭০ জনকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
তিনি জানান, আরও বেশ কয়েকজন নজরদারিতে আছেন। এছাড়া হামলার ঘটনায় ৩৯ জন নির্দেশদাতা নেতাকেও গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে ২১৯টি অস্ত্রসহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব মুখপাত্র।
কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলি চলেনি, শুধুমাত্র টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে।
যদিও ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদিক সম্মেলনে একই দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। সেদিনও মুনীম বলেছিলেন, সহিংসতার ঘটনা প্রতিরোধে আকাশ থেকে হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করা হয় নি। বরং বিভিন্ন ভবনে আটকে পড়া সাধারণ মানুষ ও পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়েছে র্যাব।
এদিকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত একটি মুদি দোকানের ভেতর থেকে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে গুলশান থানা পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মূল সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এই হত্যার ব্যাপারে র্যাব মুখপাত্র জানান, আর্থিক লেনদেনের দ্বন্দ্বের জেরে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে।
আসছে ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সর্বজনীন এই আনন্দোৎসবে ইতিমধ্যে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
দুর্গোৎসব প্রসঙ্গে এই র্যাব কর্মকর্তা জানান, দুর্গাপূজাকে ঘিরে উসকানি রয়েছে। তবে বিশৃঙ্খলা রোধ করতে মাঠে তৎপর থাকবে র্যাব। সকাল ও বিকেলে থাকবে বিশেষ টহল।
দেশের সব পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় র্যাব কাজ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, দুর্গাপূজাকে ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় কমান্ডো, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার তদন্ত ভার দীর্ঘদিন ছিল র্যাবের ওপর। কিন্তু সংস্থাটি ১২ বছরে ১১১ বার প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়। পরে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে সরিয়ে দিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।