বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাতীয়

‘আয়নাঘরের’ প্রমাণ পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কার্যালয়ে গিয়ে গোপন বন্দিশালার ‘আয়নাঘর’ সন্ধান পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি। আর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের কার্যক্রম শুরুর পর ১৩ কর্মদিবসে ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কমিশনের সভাপতি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলটি (জেআইসি) ডিজিএফআইয়ের সদর দপ্তরের ভেতরেই। দোতলা ওই ভবনে ২২টি সেল আছে।

মইনুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক যারা গুম হয়েছেন তাদের অভিযোগগুলো নিয়েই আমরা কাজ করেছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদেরও আমরা ডাকব। বক্তব্যের জন্য সমন দেব। অভিযুক্তরা না আসলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি গুমের অভিযোগ এসেছে র‍্যাব, ডিজিএফআই, ডিবি ও সিটিটিসির বিরুদ্ধে। ২৫ সেপ্টেম্বর আমরা ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘর পরিদর্শন করেছি। ১ অক্টোবর আমরা ডিবি ও সিটিটিসি পরিদর্শন করেছি। তবে সেখানে কোনো বন্দী আমরা পাইনি। সম্ভবত ৫ আগস্টের পর সেখানে থেকে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কমিশনের সভাপতি আরও বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় ছিল। তবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাদের কাছে ৭৫ জন সশরীরে এসে তাদের বিবৃতি দিয়েছেন। অনেকে ডাকযোগে পাঠিয়েছেন, অনেকে ইমেইলে দিয়েছেন। প্রয়োজনে অভিযোগ নেওয়ার সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে। তিন মাসে তদন্ত শেষ হবে কিনা সেটা সামনে বোঝা যাবে বলেও জানান তিনি।

কমিশনের সদস্য নূর খান বলেন, আমরা ভুক্তভোগীর পরিচয় দিয়ে তাঁকে আলাদা করব না। প্রতিটি অভিযোগ আমরা শুনতে চাই। কী হয়েছিল তা জানতে চাই। কীভাবে আইন না মেনে বন্দী করে রাখা হয়েছিল তা বুঝতে চাই। ”


সম্পর্কিত খবর

Flight Centre

Demo Description

This will close in 20 seconds