বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জাতীয়

প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধ হবে, আ.লীগের বিবৃতি

দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যেখানে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা যে কোনো পরিস্থিতিতে দেশবাসীর পাশে আছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

সেন্ট মার্টিনের প্রতি ইঙ্গিত করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মাটিতে অন্য কোনো দেশের পতাকা উড়তে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধ হবে, স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ।

বিবৃতিটি তুলে ধরা হলো-
তদন্ত সাপেক্ষে, সর্বোচ্চ পেশাদারি দিয়ে দোষীদের বিচার নিশ্চিত করুন। নতুবা আপনারাও এর দায় থেকে মুক্তি পাবেন না।

আপনারা দেখেছেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ এবং দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার জন্য কত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে প্রায় পঁচিশ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতে উন্নীত করেছিলেন। শুধু সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে আজ দেশের মানুষ বিদ্যুতের অভাবে কষ্ট করছে। এই কয়দিনেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অথচ সেই দিকে কোনো নজর নেই, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে অবৈধ ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগ নিধনেই বেশি ব্যস্ত।

আপনারা দেখছেন, প্রশাসনে কিভাবে পরিকল্পিতভাবে অসন্তোষ তৈরি করা হচ্ছে। ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করায় কতজন আনসার সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে তা কোনো মিডিয়াও প্রকাশ করতে সাহস পাচ্ছে না।

বেতন-ভাতা নিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকরা আন্দোলন করায় ইকোমধ্যে দুজন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই আপনারা দেখবেন, আমাদের মা-বোনদের পথে-ঘাটে কিভাবে অপমান, অপদস্ত করা হচ্ছে। নারী-শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। দিনদুপুরে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এর কোনো প্রতিকার নেই। এর কোনো কিছুই মিডিয়ায়ও প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই সরকার মিডিয়া অফিস দখলে ইতিমধ্যে বিশ্বরেকর্ড করেছে। এই পর্যন্ত সারা দেশে দেড় শতাধিক সাংবাদিকের নামে হত্যা মামলা দিয়েছে। তিন শতাধিক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেছে। এরাই আবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বড় বড় কথা বলে।

সম্প্রতি ড. ইউনূস বাংলাদেশের ইতিহাসে রিসেট বাটন দিয়ে দেশের ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলছেন। যা খুবই আপত্তিজনক এবং নিন্দনীয়। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলার জন্য যতই রিসেট দেন না কেন, দেশের মৌলিক ও অস্তিত্বের ইতিহাসগুলো মুছার ক্ষমতা ওনার নাই। মুছতে পারলে তো বাংলাদেশই থাকবে না। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, ত্রিশ লাখ শহীদ, জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা, জাতির পিতা হচ্ছে বাংলাদেশের মৌলিক ভিত্তি, আমাদের জাতিগত অস্তিত্বের জায়গা। দেশকে তিনি শাসন-শোষণ যা-ই করুন, এসব গৌরবময় অধ্যায় মেনে নিয়েই করতে হবে।

আপনারা দেখেছেন পাঁচ আগস্টের পর সারা দেশে সহস্রাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কীভাবে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। চাঁদাবাজি, বসতভিটা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও নির্যাতন করা হচ্ছে। সবই হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। সাধারণ মানুষও চাঁদাবাজি ও নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। হ্যা, কেউ যদি অপরাধী হয়, দেশের আইন অনুযায়ী এর বিচার হোক। আমাদের সরকারও দলীয় অনেক অপরাধীকে বিচারের আওতায় এনেছিল। সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে সারা দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা তৈরি করেছিলাম। অপরদিকে এই অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখলের পরপরই দেশের সকল শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত সব জঙ্গিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী প্রহরায় মুক্তি দিয়ে আরো বেশি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। কারণ সন্ত্রাসীরা বুঝে গেছে, অপকর্ম করলে তাদের কোনো শাস্তি হবে না। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, সাধারণ মানুষসহ আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা বন্ধ ও হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে এবং এখনই এই নারকীয় অত্যাচার, নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। কেউ যদি মনে করেন অত্যাচার, নির্যাতন করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিবেন তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে, এই দেশের জন্মের সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক। দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ এর স্বমহিমায় ফিরে আসবে, দেশের অসমাপ্ত উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। ইনশাআল্লাহ!


সম্পর্কিত খবর

Flight Centre

Demo Description

This will close in 20 seconds