বুধবার , ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রামু

রামুতে ঐতিহাসিক জাহাজ ভাসা উৎসব

‘বাঁশ কাগজের’ সজ্জিত জাহাজ নিয়ে বাঁকখালী নদীতে উৎসব

রামুর বাঁকখালী নদীতে ভাসছিল ৫টি সজ্জিত জাহাজ। নদীর দু’পাড়ে হাজার হাজার মানুষ তা প্রত্যক্ষ করছেন। মঞ্চে তখন চলছিল আলোচনা। বৈশালী নগরবাসীর মহামারির মতো দুর্দশা লাঘবের পর মহামতি বুদ্ধ যখন সজ্জিত জাহাজে বিম্বিসার রাজ দরবারে ফিরছিল সে দিনটি ছিল প্রবারণা পূর্ণিমা। সজ্জিত জাহাজে করে মহামতি বুদ্ধের ফিরে আসার স্মৃতি জাগরুক রাখতে ২৫০ বছর ধরে রামুর বাঁকখালী নদীতে প্রবারণা পূর্ণিমার শেষ দিনে আয়োজন করা হয় কল্প জাহাজ ভাসা উৎসবের।

বাঁশ, বেত, কাঠ এবং রঙিন কাগজ দিয়ে অপূর্ব কারুকাজে তৈরি নদীতে ভাসমান এসব জাহাজে চলছে যেন বাঁধভাঙা আনন্দ। বিশেষ করে শিশু-কিশোর ও যুবকরা দল বেঁধে নানা বাদ্য বাজিয়ে জাহাজে নাচছে, গাইছে। আবার কোনো কোনো জাহাজে চলছে বুদ্ধ কীর্তন-‘বুদ্ধ, ধর্ম, সংঘের নাম সবাই বলো রে’ বুদ্ধের মতো এমন দয়াল আর নাইরে। এ বছর স্থান পেয়েছে ৮টি কল্প জাহাজ। প্রতিটি জাহাজ বানাতে খরচ দেড় লক্ষ টাকা করে।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী উৎসবের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফকিরা বাজারের পূর্বপাশে বাঁকখালী নদীতে ‘সম্প্রীতির জাহাজে, ফানুসের আলোয় দূর হোক সাম্প্রদায়িক অন্ধকার এ স্লোগানে ঐতিহাসিক জাহাজ ভাসা উৎসবের আয়োজন করা হয়। ব্যতিক্রমী এ আনন্দযজ্ঞ উদ্বোধন করেন জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দরা


সম্পর্কিত খবর