বুধবার , ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বিশেষ প্রতিবেদন

সাগরপথে মানবপাচার: তিন মাসে উদ্ধার দুই শতাধিক

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাগরপারের ইউনিয়ন বাহারছড়া এখন মানবপাচারের প্রাণকেন্দ্র বলে অভিযোগ উঠেছে। পাচারকারীদের মারধরে একজন ভুক্তভোগী নিহত হয়েছেন। ডেরা থেকে পালাতে গিয়ে পাচারকারীদের হাতে আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। নিখোঁজ রয়েছেন একজন।

সর্বশেষ এই এলাকা দিয়ে পাচারকালে সোমবার রাতেও ১৯ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছেন পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় তিন পাচারকারীকে আটক করা হয়।

সাগরপথে পাচারকালে এভাবে গত তিন মাসে দুই শতাধিক মানুষ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে।

রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি ঘটনার বিস্তারিত জানেন না, তবে বাহারছড়ায় মানবপাচারকারীদের হাতে এক ব্যক্তি আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে মারা গেছেন বলে তিনি শুনেছেন।

কক্সবাজারের সাগরপথ দিয়ে  মানবপাচার মাঝখানে একপ্রকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পাচারে আবার গতি ফিরেছে। এটার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে, মানবপাচারের ঘটনাগুলোও কিছুটা মৌসুমি এবং কিছুটা বৈশ্বিক। বর্ষা মৌসুমে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকে।

বর্ষা বিদায়ের পর নভেম্বর মাস থেকে কক্সবাজারের উপকূল দিয়ে পাচারের বাজার রমরমা হয়ে ওঠে।

অন্যদিকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি যখন প্রতিকূলে থাকে, তখন আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারীচক্র ঘাপটি মেরে থাকে। মানবপাচারের বিষয় নিয়ে নানা দেশে যখন মাতামাতি বেশি হয়, তখন পাচারকারীরা একপ্রকার চুপসে যায়। আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশকেন্দ্রিক পাচারও বেড়ে যায় বলে স্থানীয় লোকজন জানায়।

অন্যদিকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি যখন প্রতিকূলে থাকে, তখন আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারীচক্র ঘাপটি মেরে থাকে। মানবপাচারের বিষয় নিয়ে নানা দেশে যখন মাতামাতি বেশি হয়, তখন পাচারকারীরা একপ্রকার চুপসে যায়। আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশকেন্দ্রিক পাচারও বেড়ে যায় বলে স্থানীয় লোকজন জানায়।

রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের আবুল কালাম মেম্বার কালের কণ্ঠকে জানান, চরপাড়া গ্রাম থেকে গত এক সপ্তাহে ১১ জন লোক মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য দালালদের হাত ধরে বাহারছড়ায় মানবপাচারকারীদের ডেরায় গেছেন।


সম্পর্কিত খবর