বুধবার , ২৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

খেলায়

কেমন হবে মাহমুদউল্লাহর বিদায়ী উপহার

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম বাংলাদেশের কাছে ভারতের সবচেয়ে পয়মন্ত ভেন্যু! কীভাবে? এখানে যে দুটি ম্যাচ বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত খেলেছে, দুটিতেই জয়। বাংলাদেশের শতভাগ জয়ের হার ভারতের আর কোনো ভেন্যুতে নেই।

গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই টাইমড আউট বিতর্কের ম্যাচে বড় জয় পেয়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার যোগ্যতা। এই ভেন্যুতে ২০১৯ সালে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্ব ভারতের বিপক্ষে আছে স্মরণীয় টি-টোয়েন্টি জয়ও। এসব সুখস্মৃতি হয়তো আজ শান্তদের জোগাবে বাড়তি আত্মবিশ্বাস। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হার এবং ভারতীয় বোলারদের সামনে ব্যাটিং লাইনআপের দুর্বলতা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। গতকাল ফ্লাডলাইটের আলোয় শান্ত-লিটনেরা প্রথমবার অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন। নিবিড় প্রস্তুতি সেরে আজ সিরিজে সমতায় ফেরার চেষ্টায় মাঠে নামবেন তাঁরা। অন্যদিকে ফুরফুরে মেজাজে থাকা ভারতের বেশির ভাগ ক্রিকেটার কাল অনুশীলনে আসেননি।

গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কোনো বিভাগেই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারতের নতুন দলের বোলিং আক্রমণের মুখে বিপদে পড়েছিলেন ব্যাটাররা। অরুণ জেটলির সবুজাভ উইকেটে রান করার সুযোগ থাকে ব্যাটারদের। আইপিএলে নিয়মিত হাই স্কোরিং ম্যাচ বলে দিচ্ছে রানের বিকল্প নেই এ মাঠে। দিল্লিতে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে তো বাংলাদেশের টপ অর্ডার? টি-টোয়েন্টি থেকে গতকাল অবসরের ঘোষণা দেওয়া মাহমুদউল্লাহও চাইবেন নিভে যাওয়ার আগে দপ করে জ্বলে উঠতে। তাঁর কথায় সেটি স্পষ্ট, ‘এই মাঠে রান করা তুলনামূলকভাবে সহজ। আমরা প্রথম ম্যাচে কোনো বিভাগে ভালো খেলতে পারিনি। কিন্তু আমরা জানি, ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। আমাদের চেষ্টা ও মানসিকতা সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে প্রত্যাশা মেটাতে পারব।’

সিরিজে ফিরতে এই ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প নেই বাংলাদেশের। ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে দিল্লি জয়ে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন সম্মুখসারির যোদ্ধা। ইনিংসের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে শিবম দুবেকে ছয় মেরে নিশ্চিত করেছিলেন জয়। বিদায়ের আগে তেমন আরেকটি ইনিংস খেলার আশায় আছেন মাহমুদউল্লাহও। মাহমুদউল্লাহ যেমনই খেলুক, তাঁর বিদায় বেলার রাঙানোর সবচেয়ে বড় দায়িত্ব শান্তদেরই। “


সম্পর্কিত খবর