সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানরা অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সদা প্রস্তুত। চোরাচালান প্রতিরোধের পাশাপাশি যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বিজিবি। দেশ সেবায় বিজিবি আরও এগিয়ে যাবে। সবার সহযোগীতায় সীমান্তে চোরাচালান দমনে সফল হবে বিজিবি।
রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ৭৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার অতিরিক্ত মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ এম ইমরুল হাসান এসব কথা বলেন। এর আগে টেকনাফের ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর প্রশিক্ষণ মাঠে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি।
বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ এম ইমরুল হাসান বলেন, ‘সবাই মিলে সুন্দর এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। যার জন্য আবু সাঈদ-মুগ্ধরা জীবন দিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁরা আরেকবার শহীদ হলো। কাজে আমরা যাতে এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারি, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক যোগে কাজ করতে হবে। তাহলে আমরা একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ দিতে পারব নতুন প্রজন্মকে।
তিনি বলেন, ‘বিজিবি যতদিন আছে, সীমান্তে টেকনাফবাসীর কোন ভয় নেই। বিজিবি জীবন দিয়ে হয়েও সীমান্তের মানুষকে সুরক্ষিত রাখবো।
ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্টরামু সেক্টর কমান্ডার মাহমুদুল হাসান, পরিচালক অপারেশন লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, এফ আই জি গ্রুপ কমান্ডার লেঃ কর্নেল এ এম মাহাবুবুল আলম খান, ৩০ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ ওহিদুজ্জামান, ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাসরুকী,১১ বিজিবি অধিনায়ক অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ সাহল আহমেদ নোবেল, ২ বিজিবির লউপ অধিনায়ক মেজর ইশতিয়া মুর্শিদ প্রমুখ।
এদিকে অনুষ্ঠানের শুরুতে টেকনাফ ২ বিজিবি সীমান্তে অবৈধ চোরাচালান, মানব পাচার রোধ,রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধারের চিত্র তুলেন ধরেন। এছাড়া মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতি সময়ে সেদেশ থেকে পালিয়ে আসা সেনাসহ ৪০০ বিজিপি সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
