বৃহস্পতিবার , ৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

টেকনাফ

ন্যায্য মজুরীর দাবিতে টেকনাফ স্থলবন্দরে শ্রমিক ধর্মঘট

কক্সবাজারে টেকনাফ স্থলবন্দরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদে এবং ন্যায্য মজুরীর দাবিতে মানববন্ধন করেছে শ্রমিকরা; এতে বন্ধ রয়েছে মালামাল উঠানামা।

রোববার সকাল ৯ টায় টেকনাফ স্থলবন্দরের প্রধান ফটকে এ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। 

কর্মসূচী ঘিরে সকাল থেকে ট্রলার ও ট্রাকে মালামাল উঠানামা বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। এতে ব্যবসায়িরা ক্ষতির মুখে পড়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ি জানিয়েছেন, বিগত ১৬ বছর ধরে একটি সিন্ডিকেট বন্দরের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী পাওনা থেকে বঞ্চিত রেখেছে। বন্দরের ম্যানেজারের সাথে কয়েকজন শ্রমিক নেতা ( মাঝি ) যোগসাজশ করে সিন্ডিকেটটির সদস্যরা এসব অর্থ আত্মসাত করে আসছিল। সিন্ডিকেটটি মালামাল উঠানামা বাবদ ট্রাক প্রতি ১০ হাজার টাকা আদায় করতো। কিন্তু সিন্ডিকেটটি ট্রাক প্রতি ২/৩ হাজার টাকা কর্তন করে বাকি টাকা শ্রমিকদের মজুরী দিতো। 

এ নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে শ্রমিকদের চাপা ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে রোববার সকালে। এতে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা মালামাল উঠানামা বন্ধ রেখে সিন্ডিকেটের সদস্যদের শাস্তির এবং ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন করেছে।

সকাল ৯ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত বন্দরের প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকদের এ মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্টিত হয়েছে। এতে কয়েক শত শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।

বন্দরের শ্রমিক নেতা আব্দুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত মানববন্ধনোত্তর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আব্দুর শুক্কুর, মোহাম্মদ আলম ও ছৈয়দ হোসেন।

মানববন্ধনে শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতকারিদের শাস্তি এবং ন্যায্য মজুরী প্রদানের দাবি জানিয়ে শ্রমিক নেতারা বলেছেন, তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে পণ্য উঠানামা বন্ধ রাখার পাশাপাশি বন্দরের কার্যক্রম অচল করে দেওয়া হবে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, বন্দরে সিন্ডিকেট বাণিজ্যের মাধ্যমে দীর্ঘ বছর ধরে অর্থ আত্মসাত এবং ন্যায্যমূল্যের দাবিতে শ্রমিকরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। এতে সকাল থেকে সবধরণের পণ্য উঠানামা বন্ধ থাকায় ব্যবসায়িরা ক্ষতির মুখে পড়েছে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান, বন্দরের এ ব্যবসায়ি।

তবে বিষয় নিয়ে স্থলবন্দর পরিচালনাকারি প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেড এর টেকনাফের মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কোন ধরণের সাড়া না দেওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।


সম্পর্কিত খবর